১৩০৩ বঙ্গাব্দের ১৯ বৈশাখ, বৈশাখী কৃষ্ণা চতুর্থীর দিন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ত্রিপুরা জেলার খেওরা গ্রামে আধুনিক ভারতের ও বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্ম গুরু শ্রী শ্রী আনন্দময়ী মায়ের শুভ আবির্ভাব ঘটে ।
শৈশবে তাঁর নাম ছিল নির্মলা। ছোট বেলায় তিনি গাছ পালার সাথে বন্ধুর মত কথা বলতেন । উত্তরকালে সর্বস্তরের মানুষ ছাড়াও পশু ,পাখির সাথেও তাঁর মাধুর্য ময় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
ধ্যানস্থ আনন্দময়ীর মাথায় বিষাক্ত সাপও ফণা বিস্তার করে রাখত। ওঙ্কারনাথ সহ অগনিত সাধক ও লাখ লাখ ভক্ত তাঁকে জগন্মাতা কালীর অবতার বলে শ্রদ্ধা করতেন।
তিনি সেই বিরলতম সাধিকা, যিনি কোনও গুরু ছাড়াই স্বয়ং সিদ্ধা হয়েছিলেন। ঢাকার শাহবাগ সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়িতে তাঁর প্রকাশ্য সাধন জীবন শুরু হল আর এখানেই তাঁর নামকরন হল "আনন্দময়ী মা"।
তাঁর জীবন ছিল ভারতীয় সনাতন হিন্দুত্বের সকল ধারায় অভিষিক্ত। শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, বেদান্ত, সাকার, নিরাকার ,বেদ,তন্ত্র,পুর ান প্রভৃতি সাধন রীতি তাঁর জীবনে মূর্ত হয়েছে। সর্বোপরি দল মত, জাতিধর্ম নির্বিশেষে তাঁর সর্বজনীন অপূর্ব প্রেম দেশ বিদেশের রাষ্ট্র নেতা , লেখক , শিল্পী ,জনগণকে মুগ্ধ করেছিল।সনাতন হিন্দু শাস্ত্র ও ধর্মের প্রসারের জন্য তিনি বহু মঠ, মন্দির, প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন যা আজো মায়ের আদর্শ বহন করে চলেছে।
১৯৬১ সালের ১ এপ্রিল এক জার্মান মহিলা মাকে দর্শন করতে এসে জিজ্ঞাসা করেন,"কেমন করে ধ্যান কালে মন কে নিবিষ্ট করা যায়?ধ্যান কালে কি মন কে কি কোন বিষয় বস্তুকে অবলম্বন করবে? নাকি শূন্য থাকবে?'' এ কথা সুনে ওই খানে উপস্থিত রাজপুতানার রানীর মুখ উজ্বল হয়ে ওঠে। তিনিও এই প্রশ্নটি মাকে করবেন বলে বহুদিন ভাবছিলেন। আজ সেই প্রশ্নটি উত্থাপিত হল এই বিদেশীর মাধ্যমে!
মা উত্তরে বললেন," দুভাবেই করা যায়। যারা দেব দেবীর ভক্ত ,তাঁরা কোন না কোন মূর্তির চিন্তন করবে। আবার মনকে শূন্য রেখেও কিংবা চুপ থেকে দেখা যেতে পারে।তবে এটা কঠিন কাজ। এ অবস্থায় মানুষ অন্তর্নিহিত জ্যোতির ধ্যান করতে পারে...।" সাকার -নিরাকার সাধনা সম্পর্কে তাঁর সাধনা লব্ধ এই বিবৃতি অনুসরনীয়।
সংসারের দুঃখের কারন ও তা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে তিনি আমাদের যে অগণ্য উপদেশ দিয়েছেন তার কয়েকটি উদ্ধৃত করছি।
"জন্ম জন্মান্তরের সংস্কার -ই বন্ধনের মূল।কর্মের দ্বারা যে সংস্কার গড়ে ওঠে, কর্মের দ্বারাই ইহা ভাঙে। ...শুভ কর্ম করতে করতে জতই শুভ সংস্কার বৃদ্ধি পায় ততই অশুভ সংস্কার গুলি দূরীভূত হয়। অবশেষে আগুন যেরূপ আবর্জনা দি ভস্ম করে আপনা হতেই আপনি নিভে যায় , তদ্রুপ শুভ সংস্কার গুলি স্বয়ং - ই লোপ পায়। "
"স্মরন করে রাখ, স্মরন করে রাখ। ভগবানের নাম সর্বদা স্মরন করতে করতে এই সংসার কারাগারের দিন কেটে যাবে। নিজে তো ভাল হবার চেষ্টা করবি-ই যে যেখানে আছে তাদেরও ডেকে নিবি। "
জয় মা। সনাতন হিন্দু ধর্মের জয় হোক।
Debasish Singha
Like your page
https://www.facebook.com/OmSabha
শৈশবে তাঁর নাম ছিল নির্মলা। ছোট বেলায় তিনি গাছ পালার সাথে বন্ধুর মত কথা বলতেন । উত্তরকালে সর্বস্তরের মানুষ ছাড়াও পশু ,পাখির সাথেও তাঁর মাধুর্য ময় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
ধ্যানস্থ
তিনি সেই বিরলতম সাধিকা, যিনি কোনও গুরু ছাড়াই স্বয়ং সিদ্ধা হয়েছিলেন। ঢাকার শাহবাগ সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়িতে তাঁর প্রকাশ্য সাধন জীবন শুরু হল আর এখানেই তাঁর নামকরন হল "আনন্দময়ী মা"।
তাঁর জীবন ছিল ভারতীয় সনাতন হিন্দুত্বের সকল ধারায় অভিষিক্ত। শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, বেদান্ত, সাকার, নিরাকার ,বেদ,তন্ত্র,পুর
১৯৬১ সালের ১ এপ্রিল এক জার্মান মহিলা মাকে দর্শন করতে এসে জিজ্ঞাসা করেন,"কেমন করে ধ্যান কালে মন কে নিবিষ্ট করা যায়?ধ্যান কালে কি মন কে কি কোন বিষয় বস্তুকে অবলম্বন করবে? নাকি শূন্য থাকবে?'' এ কথা সুনে ওই খানে উপস্থিত রাজপুতানার রানীর মুখ উজ্বল হয়ে ওঠে। তিনিও এই প্রশ্নটি মাকে করবেন বলে বহুদিন ভাবছিলেন। আজ সেই প্রশ্নটি উত্থাপিত হল এই বিদেশীর মাধ্যমে!
মা উত্তরে বললেন," দুভাবেই করা যায়। যারা দেব দেবীর ভক্ত ,তাঁরা কোন না কোন মূর্তির চিন্তন করবে। আবার মনকে শূন্য রেখেও কিংবা চুপ থেকে দেখা যেতে পারে।তবে এটা কঠিন কাজ। এ অবস্থায় মানুষ অন্তর্নিহিত জ্যোতির ধ্যান করতে পারে...।" সাকার -নিরাকার সাধনা সম্পর্কে তাঁর সাধনা লব্ধ এই বিবৃতি অনুসরনীয়।
সংসারের দুঃখের কারন ও তা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে তিনি আমাদের যে অগণ্য উপদেশ দিয়েছেন তার কয়েকটি উদ্ধৃত করছি।
"জন্ম জন্মান্তরের সংস্কার -ই বন্ধনের মূল।কর্মের দ্বারা যে সংস্কার গড়ে ওঠে, কর্মের দ্বারাই ইহা ভাঙে। ...শুভ কর্ম করতে করতে জতই শুভ সংস্কার বৃদ্ধি পায় ততই অশুভ সংস্কার গুলি দূরীভূত হয়। অবশেষে আগুন যেরূপ আবর্জনা দি ভস্ম করে আপনা হতেই আপনি নিভে যায় , তদ্রুপ শুভ সংস্কার গুলি স্বয়ং - ই লোপ পায়। "
"স্মরন করে রাখ, স্মরন করে রাখ। ভগবানের নাম সর্বদা স্মরন করতে করতে এই সংসার কারাগারের দিন কেটে যাবে। নিজে তো ভাল হবার চেষ্টা করবি-ই যে যেখানে আছে তাদেরও ডেকে নিবি। "
জয় মা। সনাতন হিন্দু ধর্মের জয় হোক।
Debasish Singha
Like your page
https://www.facebook.com/OmSabha
No comments:
Post a Comment