ॐ सभा-য় আপনাদের জানাই স্বাগতম <> Facebook Page www.facebook.com/omsabha <> Facebook Group www.facebook.com/groups/OmSabha <> Blog,Page,Group থেকে বিনা অনুমতিতে লেখা নিলে আইনত অপরাধ বলে গণ্য হবে। <> সকল স্বত্ব ॐ सभा -র দ্বারা সংরক্ষিত ।

Friday, December 27, 2013


দেবতাদের কি আকার আছে নাকি নিরাকার ?
_____________________________________
বেদার্থ গভীর ও গম্ভীর । তার বহুবিধ অর্থ আছে । এক রকম অর্থ ধরলে তা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে ওঠে ।
এক শ্রেণীর গোঁড়া নিরাকারবাদী ( মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের মতের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বোধ হয় ) বেদ-এর এক রকম অর্থের দ্বারা সীমাবদ্ধ করে পরমেশ্বরকে বা দেবগণকে কেবল নিরাকার বলে ব্যাখ্যা করেন। এটি সনাতন হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্যবিরোধী। দেখা যাক বেদ বিশারদ ও সাধকদের কি মত।
অন্যতম প্রাচীন বেদ ভাষ্যকার মহর্ষি যাস্কাচার্য তার “নিরুক্তম” গ্রন্থে দেবতার আকার সম্পর্কে ৪ টি মত প্রদান করেছেন ।
সেই মতগুলি নিম্নরূপ
১। দেবতার মানুষের মত আকার আছে ।

২। দেবতার আকার রূপক অর্থে ধরতে হবে ।
৩। দেবতারা মনুষ্যাকার এবং মনুষ্যাকার নয় এই উভয় প্রকার হতে পারেন।
৪। দেবতার আকার আছে এবং তারা অমনুষ্যাকার অঙ্গ দ্বারা কাজ করেন।

এই মতগুলির সমন্বয় করে বেদবিদ পণ্ডিতগণ এই সিদ্ধান্ত করেছেন যে দেবতারা তাদের মহান বিভূতির দ্বারা সাকার ও নিরাকার হতে পারেন।
সানাতন হিন্দু ধর্মের অসংখ্য সাধকের উপলব্ধিও তাই। নিরাকার ব্রহ্মের উপাসক আদি গুরু শঙ্করাচর্যকেও তাই দেখি সাকার ব্রহ্মের নানা প্রতীমা ও দেব মন্দির স্থাপন করতে। এই সমন্বয় বোধ থেকেই দেখি নিরাকার ব্রহ্মের মহিমা ঘোষণাকারী আদি গুরু শঙ্করদেব প্রতিমার প্রতি ভক্তি নিবেদন করে নানা স্তব রচনা করেছেন। এমন এক স্তবে তিনি বলেছেন “ ভজ গোবিন্দম ভজ গোবিন্দম ভজ গোবিন্দম  মূঢ়মতে । ”

-দেবাশিষ সিংহ

Facebook Comment

আজকের তারিখ