ঈশ্বর সাকার, নিরাকার---- দুই ভাবেই বেদ আদি শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছেন। যুগে যুগে তিনি বিভিন্ন কারণে জগত প্রপঞ্চে অবতার হয়ে নেমে আসেন। বৈদিক শাস্ত্রের বহু অংশ বিনষ্ট হয়ে গেলেও, এখনো যেটুকু আছে, তার মধ্যেও সেই প্রমাণ বিদ্যমান আছে। গোঁড়ামির চশমাটা খুলে সাধন ভজন করলে ঈশ্বর ও সদগুরুর কৃপায় তা বোঝা সম্ভব।
ঋক বেদের ১০ মণ্ডলের বিখ্যাত পুরুষ সূক্তে ঈশ্বরকে সহস্র মস্তক, সহস্র লোচন , সহস্র চরণ বিশিষ্ট পুরুষ রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ঈশ্বর যদি কেবল নিরাকার -ই হবেন তাহলে তাঁর হাজার হাজার মাথা, চোখ, পা কীভাবে হোল ?ঈশ্বরের এই আকারকে প্রতিমা ও প্রতীকে বৈদিক যুগ হতেই হিন্দুগণ উপাসনা করে এসেছেন। শাস্ত্রে তার প্রমাণ আছে।
অবতার শব্দটি ঋক বেদে নেই । কিন্তু অবতার বলতে হিন্দুগণ যা বোঝেন--- তা বেদে আছে। বেদের ঋষি মধু ছন্দ া বেদে ঈশ্বর রূপে বন্দিত প্রসিদ্ধ ইন্দ্রকে , তাঁর প্রপিতামহ কূশীক -এর পুত্র কৌশিক বোলে সম্বোধন করেছেন। বেদের আচার্য কাত্যায়ন sarbanukromoni গ্রন্থে এক -ই ভাবে ইন্দ্রকে কৌশিক বলেছেন । কূশীক ইন্দ্র তুল্য পুত্র কামনায় তপস্যা করেছিলেন। ইন্দ্র স্বয়ং তাঁর পুত্র রূপে এই ধরা ধামে অবতীর্ণ হয়ে ঋষির ইচ্ছা পূরণ করেন। কৌশিক রূপে ইন্দ্র অবতীর্ণ হতে পারেন, রাম বা কৃষ্ণ রূপে শ্রী হরি , দুর্গা বা কালী রূপে মহাশক্তি অবতার গ্রহণ করতে পারেন না---- এ অসম্ভব। হিন্দুগণ তাদের অধিকার ও রুচি অনুসারে এই অবতার সকলের উপাসনা করে অতীতে - কৃতার্থ হয়েছেন আর ভবিষ্যতেও হবেন।অবতারের নামে ভণ্ড বাবাজী ,মাতাজীদের থেকে সাবধান হতে হবে। কিন্তু প্রকৃত অবতারকে অবশ্য- ই শ্রদ্ধা করতে হবে। এর অন্যথা যারা করেছেন তারা হিন্দু নাম ধারী নাস্তিক বা অহিন্দু কোনও সম্প্রদায়ের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছেন বোলে ধারণা করা যেতে পারে। এদের জন্য এই গ্রুপে বা বৃহত্তর হিন্দু সমাজে কোনও স্থান নেই।
ঋক বেদের ১০ মণ্ডলের বিখ্যাত পুরুষ সূক্তে ঈশ্বরকে সহস্র মস্তক, সহস্র লোচন , সহস্র চরণ বিশিষ্ট পুরুষ রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ঈশ্বর যদি কেবল নিরাকার -ই হবেন তাহলে তাঁর হাজার হাজার মাথা, চোখ, পা কীভাবে হোল ?ঈশ্বরের এই আকারকে প্রতিমা ও প্রতীকে বৈদিক যুগ হতেই হিন্দুগণ উপাসনা করে এসেছেন। শাস্ত্রে তার প্রমাণ আছে।
অবতার শব্দটি ঋক বেদে নেই । কিন্তু অবতার বলতে হিন্দুগণ যা বোঝেন--- তা বেদে আছে। বেদের ঋষি মধু ছন্দ া বেদে ঈশ্বর রূপে বন্দিত প্রসিদ্ধ ইন্দ্রকে , তাঁর প্রপিতামহ কূশীক -এর পুত্র কৌশিক বোলে সম্বোধন করেছেন। বেদের আচার্য কাত্যায়ন sarbanukromoni গ্রন্থে এক -ই ভাবে ইন্দ্রকে কৌশিক বলেছেন । কূশীক ইন্দ্র তুল্য পুত্র কামনায় তপস্যা করেছিলেন। ইন্দ্র স্বয়ং তাঁর পুত্র রূপে এই ধরা ধামে অবতীর্ণ হয়ে ঋষির ইচ্ছা পূরণ করেন। কৌশিক রূপে ইন্দ্র অবতীর্ণ হতে পারেন, রাম বা কৃষ্ণ রূপে শ্রী হরি , দুর্গা বা কালী রূপে মহাশক্তি অবতার গ্রহণ করতে পারেন না---- এ অসম্ভব। হিন্দুগণ তাদের অধিকার ও রুচি অনুসারে এই অবতার সকলের উপাসনা করে অতীতে - কৃতার্থ হয়েছেন আর ভবিষ্যতেও হবেন।অবতারের নামে ভণ্ড বাবাজী ,মাতাজীদের থেকে সাবধান হতে হবে। কিন্তু প্রকৃত অবতারকে অবশ্য- ই শ্রদ্ধা করতে হবে। এর অন্যথা যারা করেছেন তারা হিন্দু নাম ধারী নাস্তিক বা অহিন্দু কোনও সম্প্রদায়ের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছেন বোলে ধারণা করা যেতে পারে। এদের জন্য এই গ্রুপে বা বৃহত্তর হিন্দু সমাজে কোনও স্থান নেই।
ঈশ্বর সকলকে শুভ বুদ্ধি দিন। হরি ওম।