ॐ বা ॐ -কার (অপর বানানে ওঙ্কার) বা প্রণব, সনাতন হিন্দুধর্মের পবিত্রতম ও সর্বজনীন প্রতীক। এটি হিন্দু দর্শনের সর্বোচ্চ ঈশ্বর ব্রহ্মের বাচক। এই ধর্মের প্রতিটি সম্প্রদায় ও উপসম্প্রদায়ের নিকটেই এটি পবিত্র বলে গণ্য। স্বামী বিবেকানন্দের মতে, ॐ -কার “সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক, ঈশ্বরেরও প্রতীক।”
Friday, September 30, 2016
Monday, September 26, 2016
Last message of Krishna in GITA
সর্ব্বধর্ম্ম পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।
অহং তাং সর্ব্ব পাপেভ্য মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ। —গীতা ১৮/৬৬।।
অহং তাং সর্ব্ব পাপেভ্য মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ। —গীতা ১৮/৬৬।।
★বিস্তারিত ব্যখ্যা করেছেন
→ স্বামী প্রণবানন্দ গিরি পরমহংস।।
→ স্বামী প্রণবানন্দ গিরি পরমহংস।।
"ধর্ম্ম" —এটি সংস্কৃত ভাষার একটি বহুবিস্তৃতার্থ সম্পন্ন শব্দ ; ইহা ক্রমে বিস্তার -অর্থ থেকে বিশেষ বিশেষ অর্থে প্রযুক্ত হয়ে এসেছে। "ধৃ" ধাতু মন প্রত্যয় করে ধর্ম্ম শব্দটি সিদ্ধ হয়েছে। ধাতুগত অর্থে যা’ ধরে থাকা যায় তাই ধর্ম এইরূপ অর্থ হয়।
এই অর্থে (১ম অর্থে) স্বয়ং আদিপুরুষ সৃষ্টিকর্তা বিধাতাই ধর্ম্ম, কারণ তাকে ধরে থেকেই এই বিশ্ব রয়েছে। কাজেই (২য় অর্থ) এই বিশ্ব ব্যপার পরিচালনার জন্য যে বিধান তিনি করেছেন, অর্থাৎ যে বিধান ধরে বিশ্বের ক্রিয়া চলছে, তাহাও ধর্ম্ম (বিশ্ব বিধান)। তেমনি (৩য় অর্থ) সেই বিধাতৃপুরুষ জীবের. বিশেষতঃ মনুষ্যের কর্ম্ম ও কর্ম্মফল সম্বন্ধীয় যা বিধান করেছেন, যা’ দ্বারা পাপ ও পূণ্য নামে দু’প্রকার কর্ম্মফল বিভাগ করা হয়েছে, তাকেও ধর্ম বলে! আবার (৪র্থ অর্থ) পূণ্যফলে জীব ক্রমে নিকটবর্তী হয়ে স্বয়ং ধর্ম্মের (বিশ্ব বিধাতার) স্বরূপ প্রাপ্ত হয় বলে পূণ্যকেও ধর্ম্ম বলে, এবং পাপফলে জীব ধর্ম্ম হতে ক্রমশ বহুদুরে নিক্ষিপ্ত হয় বলে, পাপ কে অধর্ম্ম বলে। এইরূপে ক্রমে (৫ম অর্থ) ধর্ম্মশাস্ত্রানুযায়ী আচার ধর্ম্ম নামে চলে এসেছে। বিধি বিহিত বিধানের নাম ধর্ম্ম বলে সেই অনুকরণে (৬ষ্ঠ অর্থ) সামাজিক ব্যবহারিক বিধানকেও ধর্ম্ম বলা হয় ; এই জন্যই স্মৃতি প্রভৃতি ব্যবহার শাস্ত্রকে ধর্ম্মশাস্ত্র বলে। (৭ম অর্থ) বিশেষ বিশেষ বিধানকেও ধর্ম্ম বলে ; যেমন বীরধর্ম্ম, রাজধর্ম, গার্হস্থ্যধর্ম্ম, সন্ন্যাসধর্ম্ম, পতিব্রত্যধর্ম্ম ইত্যাদি।
এই অর্থে (১ম অর্থে) স্বয়ং আদিপুরুষ সৃষ্টিকর্তা বিধাতাই ধর্ম্ম, কারণ তাকে ধরে থেকেই এই বিশ্ব রয়েছে। কাজেই (২য় অর্থ) এই বিশ্ব ব্যপার পরিচালনার জন্য যে বিধান তিনি করেছেন, অর্থাৎ যে বিধান ধরে বিশ্বের ক্রিয়া চলছে, তাহাও ধর্ম্ম (বিশ্ব বিধান)। তেমনি (৩য় অর্থ) সেই বিধাতৃপুরুষ জীবের. বিশেষতঃ মনুষ্যের কর্ম্ম ও কর্ম্মফল সম্বন্ধীয় যা বিধান করেছেন, যা’ দ্বারা পাপ ও পূণ্য নামে দু’প্রকার কর্ম্মফল বিভাগ করা হয়েছে, তাকেও ধর্ম বলে! আবার (৪র্থ অর্থ) পূণ্যফলে জীব ক্রমে নিকটবর্তী হয়ে স্বয়ং ধর্ম্মের (বিশ্ব বিধাতার) স্বরূপ প্রাপ্ত হয় বলে পূণ্যকেও ধর্ম্ম বলে, এবং পাপফলে জীব ধর্ম্ম হতে ক্রমশ বহুদুরে নিক্ষিপ্ত হয় বলে, পাপ কে অধর্ম্ম বলে। এইরূপে ক্রমে (৫ম অর্থ) ধর্ম্মশাস্ত্রানুযায়ী আচার ধর্ম্ম নামে চলে এসেছে। বিধি বিহিত বিধানের নাম ধর্ম্ম বলে সেই অনুকরণে (৬ষ্ঠ অর্থ) সামাজিক ব্যবহারিক বিধানকেও ধর্ম্ম বলা হয় ; এই জন্যই স্মৃতি প্রভৃতি ব্যবহার শাস্ত্রকে ধর্ম্মশাস্ত্র বলে। (৭ম অর্থ) বিশেষ বিশেষ বিধানকেও ধর্ম্ম বলে ; যেমন বীরধর্ম্ম, রাজধর্ম, গার্হস্থ্যধর্ম্ম, সন্ন্যাসধর্ম্ম, পতিব্রত্যধর্ম্ম ইত্যাদি।
এই গেল ধর্ম্ম শব্দের মানে। যা’ ধরে থাকা যায় এই আদিম অর্থ মূলে ধর্ম্মশব্দ স্বভাব, গুণ কর্তব্যকর্ম্ম ইত্যাদি নানাপ্রকার বিশেষ বিশেষ অর্থেও প্রযুক্ত হয়, যেমন স্বভাব অর্থে ;—জীবধর্ম্ম, মনুষ্যধর্ম্ম স্ত্রী ধর্ম্ম, পুরুষধর্ম্ম মনোধর্ম্ম ইত্যাদি ; গূণ অর্থে ;—বায়ুর ধর্ম, জলের ধর্ম ইত্যাদি প্রত্যেক বস্তুর গুণের নাম ধর্ম্ম।
সর্ব্বধর্ম পরিত্যজ্য ......এই শ্লোকে এই যে সর্ব্বধর্ম শব্দটি আছে, এর অর্থ একটু বিশেষ করে বুঝতে হবে। এর লৌকিক অর্থ এখনে আলোচনা করা হবে।
অর্জুন প্রথম অধ্যায়ে বলেছেন "এই আততায়িদের হত্যা করলে আমাদের কুলক্ষয় জনিত পাপ হবে, সনাতন কুলধর্ম্ম নষ্ট হবে, ধর্ম্ম নষ্টে অধর্ম্ম বাড়বে, তাতে শাশ্বত জাতিধর্ম্ম ও কুলধর্ম্ম উৎসন্ন যাবে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলেছেন 'আমি ধর্ম্মসংমুঢ়চেতা হয়েছি আমি তোমার শিষ্য, যা শ্রেয়ঃ তাই আমাকে উপদেশ কর। অর্জুনের ভাব হচ্ছে যে, গুরু জাতি মিত্র বধে তাঁদের ধর্ম্ম অর্থাৎ পূণ্য ক্ষয় হয়ে পাপ হবে, আর কুলধর্ম্ম ও জাতিধর্ম্ম উৎসন্ন হওয়াতে পাপ তাঁদেরই আসবে। ভগবান শিষ্য অর্জুনের ধর্ম্ম -লোপাশঙ্কা এবং পাপভয় দূর তাঁর পরম কল্যাণ সাধনের জন্য বলেছেন "সর্ব্বধর্মান্ পরিত্যজ্য "—সমুদয় ধর্ম্ম অর্থাৎ পাপ পূণ্য সিদ্ধান্ত কারক যে সব বিধান আছে কুল রক্ষার যে বিধান (কুলধর্ম্ম) আছে, এবং জাতি রক্ষার যে বিধান (জাতিধর্ম্ম) আছে, আরও যে সব ধর্ম্ম পালনার্থে তুমি কাতর হয়েছ, সেই সব সম্বন্ধীয় সব ধর্ম্ম সব বিধান —সবব রকম বিধিনিষেধ ত্যাগ করে, "মামেকং শরণং ব্রজ" —একমাত্র আমার শরণ লও অর্থাৎ আমি তোমার গুরু গুরুবাক্যই ধর্ম্ম সেই আমার বাক্য অনুসারে, আমি যেরূপ কাজ করতে উপদেশ দিলাম একমাত্র সেই উপদেশ অনুসারে সেই আমার "সর্ব্বকর্ম্মণা তমভর্চ্চ্য" ইত্যাদি এবং তমেব শরণং গচ্ছ ইত্যাদি বাক্য মতে কর্ম্ম কর। তুমি যতপ্রকার পাপের আশঙ্কা ও ভয় করছো সেই সমুদয় পাপ থেকে আমি তোমায় মুক্ত করবো — আমি তোমার সকল প্রকার কর্ম্মবন্ধন মোচন করবো। আর শোক করো না —পাপগ্রস্থ হবে এ আশঙ্কা করে আর বিষন্ন হয়ো না।
এই হলো —"সর্ব্বধর্ম্ম পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ" এর লৌকিক অর্থ।
courtesy Bidyut Ar
courtesy Bidyut Ar
VISWAKARMA PUJA
বিশ্বকর্মা পূজা
———————
আবার সেই ৩১শে ভাদ্র (১৭ই সেপ্টেম্বর ) ৷ বিশ্বকর্মা পূজো | অদ্ভুত ভাবে এই পূজো ঠিক ঐ দিনেই পালিত হয় প্রতিবছর তিথি নক্ষত্রের ধার না ধরে | সেজন্যে এই পূজোর দিন মনে রাখাতে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় না | বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পগুরু | অসাধারণ গুণের অধিকারী | দধীচি মুনির অস্থি দিয়ে তিনিই নির্মাণ করেছিলেন সেই ভীষণ প্রাণঘাতী অস্ত্র বজ্র | এই অস্ত্রের সাহায্যেই দেবরাজ ইন্দ্র বিখ্যাত দৈত্যরাজ বৃত্রাসুরকে বধ করে স্বর্গকে অসুরমুক্ত করে শান্তি ফিরিয়ে আনেন | এই দেব শিল্পী বিশ্বকর্মাই সেই অনিন্দ্যসুন্দরী রূপসী তিলোত্তমা নারীর সৃষ্টি করেছিলেন যাকে নিয়ে পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধে মেতে ওঠেন দুই দৈত্য ভ্রাতা সুন্দ ও উপসুন্দ | যার ফলে তাঁদের দুজনের বিনাশ ঘটে | এছাড়াও বিশ্বকর্মার আরো অনেক কীর্তি কাহিনী আছে | সেজন্যে কেউ কোনো কাজে কর্মকুশল হলে আমরা তাঁকে বিশ্বকর্মার চেলা বলে অভিহিত করি |
বিশ্বকর্মা পূজা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিস কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়। তাঁর আকৃতি অনেকটা কার্তিকের মতো।
বেদে বিশ্বকর্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস মতে তিনি বিশ্বের তাবৎ কর্মের সম্পাদক। তিনি শিল্পসমূহের প্রকাশক, অলঙ্কার শিল্পের স্রষ্টা, দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিমান নির্মাতা ইত্যাদি। অর্থাৎ শিল্পবিদ্যায় তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। তাই যাঁরা শিল্পকর্মে পারদর্শিতা লাভ করতে চান, তাঁরা বিশ্বকর্মার অনুগ্রহ কামনা করেন। রামায়ণে বর্ণিত অপূর্ব শোভা ও সম্পদবিশিষ্ট লঙ্কা নগরীর নির্মাতা বিশ্বকর্মা বলে কথিত। তিনি উপবেদ, স্থাপত্যবেদ ও চতুঃষষ্টিকলারও প্রকাশক। দেবশিল্পিরূপে তিনি দেবপুরী, দেবাস্ত্র ইত্যাদিরও নির্মাতা। জনশ্রুতি আছে যে, পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথমূর্তিও বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেন।
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে কলকারখানায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য দেব-দেবীর মতোই মূর্তি গড়ে অথবা ঘটে-পটে বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। এ সময় প্রত্যেকের ঘরে বিশেষ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হয় এবং কোথাও কোথাও পূজার পরে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
লেখকঃ রঞ্জিত ভট্টাচার্য
———————
আবার সেই ৩১শে ভাদ্র (১৭ই সেপ্টেম্বর ) ৷ বিশ্বকর্মা পূজো | অদ্ভুত ভাবে এই পূজো ঠিক ঐ দিনেই পালিত হয় প্রতিবছর তিথি নক্ষত্রের ধার না ধরে | সেজন্যে এই পূজোর দিন মনে রাখাতে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় না | বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পগুরু | অসাধারণ গুণের অধিকারী | দধীচি মুনির অস্থি দিয়ে তিনিই নির্মাণ করেছিলেন সেই ভীষণ প্রাণঘাতী অস্ত্র বজ্র | এই অস্ত্রের সাহায্যেই দেবরাজ ইন্দ্র বিখ্যাত দৈত্যরাজ বৃত্রাসুরকে বধ করে স্বর্গকে অসুরমুক্ত করে শান্তি ফিরিয়ে আনেন | এই দেব শিল্পী বিশ্বকর্মাই সেই অনিন্দ্যসুন্দরী রূপসী তিলোত্তমা নারীর সৃষ্টি করেছিলেন যাকে নিয়ে পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধে মেতে ওঠেন দুই দৈত্য ভ্রাতা সুন্দ ও উপসুন্দ | যার ফলে তাঁদের দুজনের বিনাশ ঘটে | এছাড়াও বিশ্বকর্মার আরো অনেক কীর্তি কাহিনী আছে | সেজন্যে কেউ কোনো কাজে কর্মকুশল হলে আমরা তাঁকে বিশ্বকর্মার চেলা বলে অভিহিত করি |
বিশ্বকর্মা পূজা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিস কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়। তাঁর আকৃতি অনেকটা কার্তিকের মতো।
বেদে বিশ্বকর্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস মতে তিনি বিশ্বের তাবৎ কর্মের সম্পাদক। তিনি শিল্পসমূহের প্রকাশক, অলঙ্কার শিল্পের স্রষ্টা, দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিমান নির্মাতা ইত্যাদি। অর্থাৎ শিল্পবিদ্যায় তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। তাই যাঁরা শিল্পকর্মে পারদর্শিতা লাভ করতে চান, তাঁরা বিশ্বকর্মার অনুগ্রহ কামনা করেন। রামায়ণে বর্ণিত অপূর্ব শোভা ও সম্পদবিশিষ্ট লঙ্কা নগরীর নির্মাতা বিশ্বকর্মা বলে কথিত। তিনি উপবেদ, স্থাপত্যবেদ ও চতুঃষষ্টিকলারও প্রকাশক। দেবশিল্পিরূপে তিনি দেবপুরী, দেবাস্ত্র ইত্যাদিরও নির্মাতা। জনশ্রুতি আছে যে, পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথমূর্তিও বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেন।
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে কলকারখানায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য দেব-দেবীর মতোই মূর্তি গড়ে অথবা ঘটে-পটে বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। এ সময় প্রত্যেকের ঘরে বিশেষ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হয় এবং কোথাও কোথাও পূজার পরে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
লেখকঃ রঞ্জিত ভট্টাচার্য
Subscribe to:
Posts (Atom)