বিশ্বকর্মা পূজা
———————
আবার সেই ৩১শে ভাদ্র (১৭ই সেপ্টেম্বর ) ৷ বিশ্বকর্মা পূজো | অদ্ভুত ভাবে এই পূজো ঠিক ঐ দিনেই পালিত হয় প্রতিবছর তিথি নক্ষত্রের ধার না ধরে | সেজন্যে এই পূজোর দিন মনে রাখাতে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় না | বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পগুরু | অসাধারণ গুণের অধিকারী | দধীচি মুনির অস্থি দিয়ে তিনিই নির্মাণ করেছিলেন সেই ভীষণ প্রাণঘাতী অস্ত্র বজ্র | এই অস্ত্রের সাহায্যেই দেবরাজ ইন্দ্র বিখ্যাত দৈত্যরাজ বৃত্রাসুরকে বধ করে স্বর্গকে অসুরমুক্ত করে শান্তি ফিরিয়ে আনেন | এই দেব শিল্পী বিশ্বকর্মাই সেই অনিন্দ্যসুন্দরী রূপসী তিলোত্তমা নারীর সৃষ্টি করেছিলেন যাকে নিয়ে পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধে মেতে ওঠেন দুই দৈত্য ভ্রাতা সুন্দ ও উপসুন্দ | যার ফলে তাঁদের দুজনের বিনাশ ঘটে | এছাড়াও বিশ্বকর্মার আরো অনেক কীর্তি কাহিনী আছে | সেজন্যে কেউ কোনো কাজে কর্মকুশল হলে আমরা তাঁকে বিশ্বকর্মার চেলা বলে অভিহিত করি |
বিশ্বকর্মা পূজা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিস কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়। তাঁর আকৃতি অনেকটা কার্তিকের মতো।
বেদে বিশ্বকর্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস মতে তিনি বিশ্বের তাবৎ কর্মের সম্পাদক। তিনি শিল্পসমূহের প্রকাশক, অলঙ্কার শিল্পের স্রষ্টা, দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিমান নির্মাতা ইত্যাদি। অর্থাৎ শিল্পবিদ্যায় তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। তাই যাঁরা শিল্পকর্মে পারদর্শিতা লাভ করতে চান, তাঁরা বিশ্বকর্মার অনুগ্রহ কামনা করেন। রামায়ণে বর্ণিত অপূর্ব শোভা ও সম্পদবিশিষ্ট লঙ্কা নগরীর নির্মাতা বিশ্বকর্মা বলে কথিত। তিনি উপবেদ, স্থাপত্যবেদ ও চতুঃষষ্টিকলারও প্রকাশক। দেবশিল্পিরূপে তিনি দেবপুরী, দেবাস্ত্র ইত্যাদিরও নির্মাতা। জনশ্রুতি আছে যে, পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথমূর্তিও বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেন।
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে কলকারখানায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য দেব-দেবীর মতোই মূর্তি গড়ে অথবা ঘটে-পটে বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। এ সময় প্রত্যেকের ঘরে বিশেষ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হয় এবং কোথাও কোথাও পূজার পরে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
লেখকঃ রঞ্জিত ভট্টাচার্য
———————
আবার সেই ৩১শে ভাদ্র (১৭ই সেপ্টেম্বর ) ৷ বিশ্বকর্মা পূজো | অদ্ভুত ভাবে এই পূজো ঠিক ঐ দিনেই পালিত হয় প্রতিবছর তিথি নক্ষত্রের ধার না ধরে | সেজন্যে এই পূজোর দিন মনে রাখাতে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় না | বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পগুরু | অসাধারণ গুণের অধিকারী | দধীচি মুনির অস্থি দিয়ে তিনিই নির্মাণ করেছিলেন সেই ভীষণ প্রাণঘাতী অস্ত্র বজ্র | এই অস্ত্রের সাহায্যেই দেবরাজ ইন্দ্র বিখ্যাত দৈত্যরাজ বৃত্রাসুরকে বধ করে স্বর্গকে অসুরমুক্ত করে শান্তি ফিরিয়ে আনেন | এই দেব শিল্পী বিশ্বকর্মাই সেই অনিন্দ্যসুন্দরী রূপসী তিলোত্তমা নারীর সৃষ্টি করেছিলেন যাকে নিয়ে পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধে মেতে ওঠেন দুই দৈত্য ভ্রাতা সুন্দ ও উপসুন্দ | যার ফলে তাঁদের দুজনের বিনাশ ঘটে | এছাড়াও বিশ্বকর্মার আরো অনেক কীর্তি কাহিনী আছে | সেজন্যে কেউ কোনো কাজে কর্মকুশল হলে আমরা তাঁকে বিশ্বকর্মার চেলা বলে অভিহিত করি |
বিশ্বকর্মা পূজা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিস কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়। তাঁর আকৃতি অনেকটা কার্তিকের মতো।
বেদে বিশ্বকর্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে বর্ণনা করা হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস মতে তিনি বিশ্বের তাবৎ কর্মের সম্পাদক। তিনি শিল্পসমূহের প্রকাশক, অলঙ্কার শিল্পের স্রষ্টা, দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিমান নির্মাতা ইত্যাদি। অর্থাৎ শিল্পবিদ্যায় তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। তাই যাঁরা শিল্পকর্মে পারদর্শিতা লাভ করতে চান, তাঁরা বিশ্বকর্মার অনুগ্রহ কামনা করেন। রামায়ণে বর্ণিত অপূর্ব শোভা ও সম্পদবিশিষ্ট লঙ্কা নগরীর নির্মাতা বিশ্বকর্মা বলে কথিত। তিনি উপবেদ, স্থাপত্যবেদ ও চতুঃষষ্টিকলারও প্রকাশক। দেবশিল্পিরূপে তিনি দেবপুরী, দেবাস্ত্র ইত্যাদিরও নির্মাতা। জনশ্রুতি আছে যে, পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথমূর্তিও বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেন।
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে কলকারখানায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য দেব-দেবীর মতোই মূর্তি গড়ে অথবা ঘটে-পটে বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। এ সময় প্রত্যেকের ঘরে বিশেষ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হয় এবং কোথাও কোথাও পূজার পরে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
লেখকঃ রঞ্জিত ভট্টাচার্য
No comments:
Post a Comment